Wify কিভাবে কাজ করে ? How WiFi works

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব আপনাদের সঙ্গে Wifi কি এর ব্যবহার সম্পর্কে ? কিভাবে ওয়াইফাই আবিষ্কার হলো ওয়াইফাই এর বিবরণ সমূহ আপনাদের সঙ্গে আলোচনা নিয়েই আজকের আর্টিকেলটি শুরু করছি। আশা করি আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট চালিয়ে যাচ্ছেন কখনো কখনো আপনাদের মনে হয়তো এই প্রশ্নটা আছে ওয়াইফাই কে আবিষ্কার করে, কবে থেকে ওয়াইফাই চালু হয় ভারতবর্ষে? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকের আর্টিকেলে হাজির হয়েছে আপনাদের সামনে।



What is Wify? ওয়াইফাই কি ?

একসময় ছিল যখন ইন্টারনেট কথা তো আমরা জানতাম কিন্তু ইন্টারনেট কিভাবে ব্যবহার করে এ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা ছিল। আজকের আর্টিকেলে আমরা সেটা নিয়ে আলোচনা করব। আমরা সকলেই এই বর্তমান প্রযুক্তির যুগে স্মার্ট ফোন ল্যাপটপ কম্পিউটার ইত্যাদি ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলি ব্যবহার করি সেই সমস্ত জিনিস গুলি কিন্তু আগে আমাদের কাছে এত সহজে পাওয়া যেত না টেকনোলজি ঠিক এতটা উন্নত ছিল না তবে কালক্রমে বিজ্ঞানের আশীর্বাদের ফলে এই সমস্ত জিনিস গুলি আমাদের হাতে চলে এসেছে এবং এই সমস্ত জিনিসগুলির ব্যবহার আমরা করছি। “Wifi কি” এই প্রশ্নটার উত্তরে আমরা আপনাদেরকে বলবো ওয়ারলেসের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস স্থানান্তর করাকেই আমরা ওয়াইফাই বলে থাকি। আগে এক সময় ছিল এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডাটা ট্রান্সফার করবার জন্য ওয়ারের ব্যবহার করা হতো কিন্তু এখন পাল্টেছে তাই এই ওয়াইফাই আবিষ্কারের হওয়ার পর থেকেই আমাদের কাছে হাই স্পিড ইন্টারনেট পৌঁছে যাচ্ছে নিবিড়ায় এবং আমরা আমাদের ডাটা সহজেই কিন্তু অন্য ডিভাইসে ট্রান্সফার করতে পারছি। ওয়াইফাই প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল 1997 সালে Jhon O’Sullavan প্রথম আবিষ্কার করেছিল নিজস্ব পার্সোনাল কাজের জন্য। 2917 এর এক বিশ্বব্যাপী গণনা অনুযায়ী ওয়াইফাই আলাইয়েন্স 800 ওয়াইফাই প্রোভাইড করে চলেছে তাদের গ্রাহকদের।

Wify কিভাবে কাজ করে ? How WiFi works

তো বন্ধুরা এবার আপনাদেরকে জানতে হবে ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে ওয়াইফাই এর আবিষ্কারে মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন ঘটেছে সেগুলি আপনাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে। এটা একটা এমন একটি টেকনোলজি যা ওয়াইফাই কে রেডিও তরঙ্গে কোনভার্ট করে একটা নির্দিষ্ট এরিয়ায় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। সেই বলে থাকি ওয়াইফাই জোন, এই ওয়াইফাই জোন এলাকার মধ্যে এই ওয়াইফাই জন এলাকার মধ্যে যতগুলি ডিভাইস থাকবে যদি সেই ডিভাইস গুলিতে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয় তাহলে জনের মধ্যে আপনারা ওই ওয়াইফাই অন করলে কানেক্ট করলেই আপনারা ইন্টারনেট করতে পারবেন। এর জন্য ওই ওয়াইফাই গুলোতে পাসওয়ার্ড সিস্টেম থাকে যার ফলে ইউজার কারীরা ছাড়া অন্যান্য কেউ যদি সেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাই তবে তাকে পাসওয়ার্ড জানতে হবে।

Wifi ব্যবহারের সুবিধা গুলি কি কি ?

 ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে যে সুবিধা গুলি রয়েছে সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো, আপনারা যদি না জেনে থাকেন অবশ্যই আমার এই আর্টিকেল থেকে এর সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

  1.  এর মাধ্যমে আপনি দ্রুতগতি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন
  2.  নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে যতগুলি ডিভাইস কানেক্ট করে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন
  3. 30 মিটার থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত আপনারা বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করবেন
  4.  বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে আপনি যত বেশি প্যাকেজ ব্যবহার করবেন আপনার ইন্টারনেটের গতি তত বেশি থাকবে।
 তো এই ছিল বন্ধুরা ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুবিধা গুলি এবং ওয়াইফাই কি একটা ধারণা আমি আপনাদেরকে দিয়ে দিলাম বর্তমানে আমরা সকলেই ইন্টারনেট প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত কেউ না কেউ কম্পিউটার ল্যাপটপ মোবাইল ওয়াইফাই প্রিন্টার এই সমস্ত ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে সমস্ত ডিভাইস গুলিতে এখন ওয়াইফাই সিস্টেম অ্যানাবেল রয়েছে, তাই ওয়াইফাই যতদিন আপনাদের সাথে যুক্ত থাকবে ততদিন আপনার কঠিনতম কঠিন কাজগুলি আপনি সহজে রূপান্তরিক করতে পারবেন। ওয়াইফাই এর সর্বনিন্য প্যাকেজ হচ্ছে ৪৫০ টাকা আপনারা এই টাকায় আনলিমিটেড ইন্টারনেট পেয়ে যাবেন।

 ওয়াইফাই ট্রান্সফার করা হয় এমন দুটি ডিভাইসের নাম ?

 ওয়াইফাই সম্পর্কে আপনারা তো বুঝলেন এবার ওয়াইফাই প্রোভাইড করা হয় এমন দুটি ডাইভাইস নাম আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
  1. Rowter: বর্তমান সময়ে ১০ জনের মধ্যে সাতজন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এবং এই সমস্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অনলাইন কাজ গুলি করি যেমন মোবাইল রিচার্জ ডিস রিচার্জ ইলেকট্রিক বিল দেওয়া প্রিন্ট করা সাইবার ক্যাফে গুলোতে গেলে দেখা যায়। এছাড়াও প্রত্যেক অফিস গুলিতে আপনারা যদি দেখেন সেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজগুলি করা হয়। এই কাজগুলি সংযোগ মাধ্যম হিসেবে Rowter কাজ করে। এক কথায় রাউটার হল এমন একটি নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়ার যাকে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ডিভাইস সিস্টেম বলা হয়ে থাকে। এর মধ্যে বিভিন্ন ডাটা প্যাকেজ থাকে যেগুলি নির্দিষ্ট সময়ে মুভ করা হয়।
  2. Broadband: যখন প্রথম ইন্টারনেট মাধ্যমে এসেছিল তখন আমাদের কাছে এই ইন্টারনেট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে হতো। 1996 সালে যখন ইন্টারনেট ব্যবস্থা ভারতবর্ষে চালু হয়েছিল তখন ইন্টারনেট ছিল একদম ধীর গতিতে বর্তমানে যা হাই স্পিড ইন্টারনেট চলছে তা সবই ব্রডব্যান্ড এর ওপর নির্ভর করে। ব্রডব্যান্ড গুলি বড় বড় কোম্পানি বড় বড় শপিং মল এবং আপনারা railway দপ্তর এগুলিতে ব্রডব্যান্ড সিস্টেমগুলি দেখতে পারবেন এর ফলে এরা নির্দিষ্ট এলাকা নয় এরা অনেকখানি এলাকায় বিস্তার করে ইন্টারনেট প্রোভাইড করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top