What is the significance of a Preamble to a Constitution-ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা

What is the significance of a Preamble to a Constitution-ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা 

নমস্কার বন্ধুরা আজ আমরা শেয়ার করতে চলেছি Descriptive General Studies যা তোমাদের wbp police s.i,wbpsc, wbMiscellaneous, ssc Graduate level সহ  চাকরির পরীক্ষায় সাহায্য করবে বলে আমরা আশা রাখি | এছাড়া তোমরা জানো যে Descriptive General knowledge সমস্ত কম্পিটিটিভ চাকরির পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এই বিষয়ে তোমরা যদি জ্ঞান ভালো থাকে তাহলে তোমরা মোটামুটি সমস্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে পারবে| আজ আমরা  Indian National issue এর  খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ  বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আজকের বিষয়টি হলো What is the significance of a Preamble to a Constitution? Bring out the philosophy of the Indian Polity as enshrined in the preamble of Indian Constitution?

Question: What is the significance of a Preamble to a Constitution? Bring out the philosophy of the Indian Polity as enshrined in the preamble of the Indian Constitution?

সংবিধানের প্রস্তাবনা

সংবিধানে প্রস্তাবনার গুরুত্ব : প্রস্তাবনা হল কোনো নথির প্রারম্ভিক বিবৃতি, যাতে ওই নথির দর্শন ও উদ্দেশ্য বর্ণিত থাকে। সংবিধানের ক্ষেত্রে, এতে সংবিধান রচয়িতাদের উদ্দেশ্য, তৈরির ইতিহাস এবং দেশের আদত মূল্যবোধ ও নীতি লিপিবদ্ধ রাখা হয়।
প্রত্যেক দেশের সংবিধানের একটি মতাদর্শগত ভিত্তি থাকে। নির্দিষ্ট কতকগুলি আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে সংবিধান গড়ে উঠে। সুস্পষ্ট কিছু আর্থ- সামাজিক ও রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে সংবিধানের সম্পূর্ণ কাঠামোটি তৈরি হয়। একে বলে সংবিধানের দর্শন বা দার্শনিক ভিত্তি সংবিধানের প্রস্তাবনার মধ্যেই তার দার্শনিক ভিত্তির পরিচয় বর্তমান থাকে। প্রস্তাবনা সংবিধানের অন্তরাত্মা। সংবিধানের কার্যকরী অংশে প্রবেশের এ হল এক চাবিকাঠি। এর দ্বারা সংবিধান রচয়িতাদের ইচ্ছা, সংবিধানের উৎস এবং আইনগত ও নৈতিক ভিত্তির সন্ধান পাওয়া যায়। প্রস্তাবনা থেকে সংবিধানের আদর্শগত ভিত্তি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অনুমোদনের প্রকৃতি জানা যায় এবং সরকারী কাঠামোর ধরন-ধারণ, সংবিধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রভৃতি বিষয়ে অবহিত হওয়া যায়। অর্থাৎ প্রস্তাবনা হল সংবিধানের নির্যাস স্বরূপ। কোনো একটি আইন পাঠের জন্য দরকারী তথ্য সরবরাহ করাই হল প্রস্তাবনার মূল উদ্দেশ্য। বিচারপতি স্টোরি (Justice Story)-র মতানুসারে, প্রস্তাবনা সংবিধানের সাধারণ উদ্দেশ্য ও নীতির উল্লেখ করে এবং কোন্ কোন্ অসুবিধা ও অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য সংবিধানটি রচিত হল তার বর্ণনা দেয় (“The preamble of a statute is a key to open the mind of the makers, as to the mischiefs which are to be remedied and the objects which are to be accomplished by the provisions of the statute.“) |
ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা হল ভারতের রাষ্ট্রনীতির দর্শন : ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার আদর্শ জওহরলাল নেহরু বর্ণিত, যাকে এন.এ. পাল্কিওয়ালা ‘সংবিধানের পরিচয়পত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। পণ্ডিত নেহরু 1946 সালের 13ই ডিসেম্বর গণপরিষদের সভায় তিনি এই প্রস্তাবনাটি উত্থাপন করেন। প্রায় সব দেশের লিখিত সংবিধানের শুরুতেই একটি প্রস্তাবনা আছে, এবং প্রায় অধিকাংশ দেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবনা অনুসরণ করে। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
“আমারা, ভারতের জনগণ” বলতে ভারতের মানুষের চূড়ান্ত সার্বভৌমত্ব বোঝায়। এখানে ভারতকে “প্রজাতন্ত্র” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা থেকে বোঝায় সরকার হবে জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্য। এখানে উদ্দেশ্য হিসেবে “সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক ন্যায়ের” কথা বলা হয়েছে।
1956 সালে নেহরু বলেছিলেন, “গণতন্ত্রের কথা মুখ্যত আগে যা বলা হয়েছে, রাজনৈতিক গণতন্ত্রে মুখ্যত সব মানুষের ভোটাধিকার রয়েছে। কিন্তু যে মানুষ একেবারে নিচে রয়েছে, বাইরে রয়েছে, ধরুন যে মানুষটা উপোসী, ক্ষুধার্ত, তার একটা ভোট তার প্রতিনিধিত্ব করে না। রাজনৈতিক গণতন্ত্র যথেষ্ট নয়, যদি না এর মাধ্যমে কেবল অর্থনৈতিক গণতন্ত্র, সমতার ক্রমবর্ধমানতার পরিমাপ করা যেতে পারে, এবং যদি না জীবনের সুন্দর জিনিসগুলি অন্যদের কাছে ছড়িয়ে না দেওয়া যেতে পারে এবং মোটাদাগের অসাম্যগুলি দূর করা যেতে পারে।”
বি. আর. আম্বেদকর গণ পরিষদে তাঁর অন্তিম ভাষণে বলেছিলেন, “রাজনৈতিক গণতন্ত্রের ভিত্তিতে সামাজিক গণতন্ত্র না থাকলে তা টিকে থাকতে পারে না। গণতন্ত্র মানে কী? তার মানে এমন একটা জীবন যেখানে স্বাধীনতা, সমতা ও সৌভ্রাতৃত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় যে তিনটি পৃথক নয়। এই তিনে মিলে একটি সংযুক্তি তৈরি হয় যার একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেই গণতন্ত্র তার উদ্দেশ্য হারাবে। স্বাধীনতাকে সমতার থেকে আলাদা করা যায় না, সমতাকে পৃথক করা যায় না স্বাধীনতার থেকে। আবার সৌভ্রাতৃত্বের থেকে স্বাধীনতা ও সমতাকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না।”
“স্বাধীনতা”, “সমতা” ও “সৌভ্রাতৃত্ব”-কেও আদর্শ ধরা হয়েছে 1976 সালে সংবিধানের 42তম সংশোধনীতে ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে’র জায়গায় ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ গৃহীত হয়েছে। যে সময়ে ‘দেশেরঐক্য’-কে বদলে ‘দেশের ঐক্য ও সংহতি’ করা হয়েছে।


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top