Bengali report -Migrant workers are desperate to return home
হ্যালো বন্ধুরা ,
আজ আমরা শেয়ার করতে চলেছি wbp police s.i পরীক্ষায় আসার মত কিছু বাংলা প্রতিবেদন রচনা (bangali report writing) |এই রিপোর্ট রাইটিং গুলি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পরীক্ষাসহ wbcs main exam , ssc CPO , এমটিএস, ক্লার্কশিপ সহ রাজ্য সরকারের যেকোনো পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ | তাই তুমি আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে এইগুলি প্র্যাকটিস করুন যাতে করে তোমাদের প্রস্তুতি আরো সুন্দর হয় |
Bengali report -Migrant workers are desperate to return home |
Question: Write a report in a newspaper about the problem of migrant workers returning home?
“বাড়ি ফিরতে নাজেহাল পরিযায়ী শ্রমিকেরা”
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৩শে জুন ২০22· লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশ এবং রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নিয়ে খুব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন্ রাজ্য থেকে নিজের রাজ্যে বা ঘরে ফেরার কোন সুবন্দোবস্ত ছিল না। হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণার ফলে বিভিন্ন রাজ্যে লাখ লাখ শ্রমিক আটকে পড়েছে। এই গরীব মানুষগুলি কার্যত রাজ্য সরকার বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দেওয়া খাবার ও আশ্রয়ের উপর ভরসা করে বেঁচে আছেন। সকলেই যে এই সুযোগ পাচ্ছে, এমনও নয়। কাজ নেই বলে তাদের হাতে টাকাও নেই। এই শ্রমিকেরা ঘরে ফেরার জন্য মরিয়া। অনেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে জীবন হারিয়েছে, অনেকেই ট্রেনে কাটা পড়েছে। কিন্তু কিছুতেই তাদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করছে না সরকার। তারপরেই ২০২০ মে মাসের শুরুতেই লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছেন শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। যাদের করোনার কোনো লক্ষণ নেই, তাদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে। তারা বাসে করে বাড়ি ফিরবে। বাসগুলিকে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে দেওয়া হবে। তবে প্রতিটি সফরের আগে বাসগুলি জীবাণু শূণ্য করতে হবে। প্রতিটি রাজ্যকে এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে দেশে ও রাজ্যে বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতোরও হয়েছে। এবং সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে মামলাও হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় শ্রমিকরা হতাশ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ১৮টি রাজ্যকে চিঠি লিখে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের অনুরোধ করেছেন। ব্যাস, আপাতত ওইটুকুই। সাহায্য মিলছে কই! বেশিরভাগ জায়গায় শ্রমিকরা নিজেদের অর্থে অন্নের সংস্থান করছে। কিছু এলাকায় মিলছে একবেলার খাবার। বাংলায় আরো অসহায় তাদের পরিবারের সদস্যরা। পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে ঘরে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বহু বাঙালি শ্রমিক ।