WBP SI main GS paper – দুয়ারে সরকার

 WBP SI main GS paper – দুয়ারে সরকার

হ্যালো বন্ধুরা আজ আমরা শেয়ার করতে চলেছি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসআই পরীক্ষায় আসার মত কিছু নমুনা সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন উত্তর | এই এই প্রশ্ন উত্তর পর্ব গুলি ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা সহ রাজ্য সরকারের যে কোন পরীক্ষা এবং এসএসসি cpo, ক্লার্কশিপ এমটিএস ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ | তাই তোমরা দেরি না করে এই পর্বটি খুব তাড়াতাড়ি মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্র্যাকটিস করো যাতে করে তোমাদের প্রস্তুতি আরো ভালো হয় |

WBP SI main GS paper - দুয়ারে সরকার
WBP SI main GS paper – দুয়ারে সরকার

রাজ্যবাসীর দুয়ারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

সরকার আপনার ঘরে কড়া নাড়তে আসছে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। কারণ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় ‘দুয়ারে সরকার’-১ কর্মসূচি। চলেছে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। নজিরবিহীন এই উদ্যোগে দু’মাস সাধারণ মানুষের বাড়ির কাছেই শিবির গড়ে তোলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। এরপর ‘দুয়ারে সরকার-২’ কর্মসূচীতে ১৬ই আগষ্ট, ২০২১ থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত সরকারের নানা পরিষেবায় মানুষকে যুক্ত করা হয়।

এক ছাতার তলায় খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জোহর, তপশিলি বন্ধু, একশো দিনের কাজ, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পসহ ১৮টি প্রকল্পের পরিষেবা হাতে-নাতে ৷ এই সব কটি প্রকল্প একেবারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে যুক্ত রয়েছে। ফলে এই সব প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অভাব-অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করেন সরকারি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। আর জেলায় জেলায় সব প্রকল্পের প্রধান দায়িত্বে জেলাশাসক।


প্রতিটি ওয়ার্ডে বসে “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” এর ক্যাম্প এবং গ্রামীণ এলাকাতেও। ক্যাম্প বসে স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি হল, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। নাম, ঠিকানাসহ এই শিবিরে ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করার ব্যবস্থা করা হয়। যাঁদের জাতি শংসাপত্রের সার্টিফিকেট নেই, তাঁদেরকেও পরিষেবার সুবিধা দেওয়া হয়। ওই শিবির থেকে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তফসিলি জাতি ও উপজাতি মানুষদের জন্য ‘তফসিলি বন্ধু পেনশন প্রকল্প’-এ নাম নথিভুক্ত করা হয়। এই প্রকল্পে মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে। এখানে গ্রাহকের হাতে সরাসরি পরিষেবা পৌঁছে দেন অফিসাররা। গৃহীত হয় সরকারি পেনশন, বিধবা বা বার্ধক্যভাতার আবেদনও। চটজলদি নিষ্পত্তিতে উদ্যোগী হন প্রশাসনের কর্তারা।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ১৮-৬০ বছর বয়সী মহিলা যারা কোনো ভাতা পান না তারা জেনারেল ক্যাটেগরী ৫০০ টাকা ও এস/এস টি ১০০০ টাকা প্রতিমাসে পেনশন পাচ্ছেন ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে। পুর এলাকায় বাড়ির নকশা বা প্ল্যান অনুমোদন, পানীয় জলের সমস্যা মেটানো, মিউটেশন, সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন সংক্রান্ত সমস্যা, জঞ্জাল সমস্যা মেটানো প্রতিটি সুবিধা মিলেছে এই শিবির থেকেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top