Bengali report writing- (“কণ্যাশ্রী”প্রকল্প)

Bengali report writing- (“কণ্যাশ্রী”প্রকল্প)

 হ্যালো বন্ধুরা আজ আমরা শেয়ার করতে চলেছি wbp police s.i পরীক্ষায় আসার মত কিছু বাংলা প্রতিবেদন রচনা (bangali report writing) |এই রিপোর্ট রাইটিং গুলি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পরীক্ষাসহ wbcs main exam , ssc CPO , এমটিএস, ক্লার্কশিপ সহ রাজ্য সরকারের যেকোনো পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ | তাই তুমি আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে এইগুলি প্র্যাকটিস করুন যাতে করে তোমাদের প্রস্তুতি আরো সুন্দর হয় |

Bengali report writing- (“কণ্যাশ্রী”প্রকল্প)

Kanyashree project

Question: Write a report in a newspaper about the Kanyashree project (কন্যাশ্রী প্রকল্প সম্পর্কে একটি সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লেখ)

রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘জনসেবা বিভাগে পুরস্কার’ পেল বাংলার “কণ্যাশ্রী”প্রকল্প

নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা, ২৫ জুন ,2022 : গত ২৩ জুন, ২০১৭ নেদারল্যান্ডের রাজধানী ‘দ্য হেগ’-এ ৬২টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পের মধ্য থেকে সবাইকে পিছনে ফেলে রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া সর্বোচ্চ অন্তর্জাতিক সম্মান ‘দ্য পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ (জনসেবা পুরস্কার) ছিনিয়ে নিল পশ্চিমবঙ্গের “কন্যাশ্রী”। সম্মেলনের শেষে সঞ্চালক যখন ঘোষণা করলেন জনপরিযেবার অভিনবত্বের জন্য কন্যাশ্রীই প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে, তখন আনন্দের বন্যা বয়ে গেল, শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের অধিকারী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, ‘এই জয় তাঁর একার নয়। গোটা রাজ্যবাসীর জয়। দেশের জয়। যে ৪০ লক্ষ কন্যা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন তাঁদেরই উৎসর্গ করলাম এই পুরস্কার’। নারী শিক্ষার প্রসারে রাষ্ট্রপুঞ্জের রোলমডেল কন্যাশ্রী।

নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ Joshep E. Stiglitz উন্নয়নের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন হল মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন ঘটানো, শুধুমাত্র অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটানো নয়।’ এটা ঘটনা যে গত কয়েক বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলা কন্যাশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে বাল্যবিবাহ, স্কুল থেকে ড্রপ আউটের মতো বিষয়, নারী পাচার হ্রাস থেকে শুরু করে মহিলাদের ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে মানুষের জীবনযাত্রায় যথেষ্ট সদর্থক ভূমিকা পালন করে চলেছে। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৯-এর ২৬ জুন পর্যন্ত সময়কালে কন্যাশ্রীর উভয় প্রকল্প মিলিয়ে (কে-১ ও কে-২ একত্রে) সুবিধাভোগী বালিকাদের সংখ্যা প্রায় ১.৫ কোটি। কে-১ প্রকল্পে অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত পঠন-পাঠনের সময়কালে প্রতি বছর ৭৫০ টাকা করে (প্রথমে ছিল ৫০০ টাকা) এবং বালিকাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে কে-২ প্রকল্পে এককালীন ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। পরিবারের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে থাকলেই এই উভয় প্রকল্পেই তাঁরা সুবিধাভোগীর অধিকারী হয়েছেন।

শোনা যাচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে নারী শিক্ষার প্রসারে রোলমডেল করতে চায় রাষ্ট্রপুঞ্জ। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে পিছিয়ে পড়া কিশোরীদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে কন্যাশ্রীর ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় রাষ্ট্রসংঘ এটা বাংলা তথা ভারতের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top