Royal Enfield- এর নতুন বাইক এলো বাজারে, জেনে নিন ভালো না খারাপ ?

Royal Enfield- এর নতুন বাইক এলো বাজারে, জেনে নিন ভালো না খারাপ ?


 ভারতে এবার লঞ্চ হল রয়্যাল এনফিলেন্ট এর নতুন একটি মডেল। EICMA ২০২২-এ সম্প্রতি Royal Enfield Super Meteor 650 Cruiser বিশ্বের সামনে উন্মোচন করা হয়েছে। দুটি ভেরিয়েন্ট লঞ্চ হতে পারে এই মডেলের। আবার এর সাথেই উন্মোচন হওয়া নতুন 650সিসি বাইকটাকে ঘিরেও উন্মাদনা বৃষ্টি হয়েছে বাইক প্রেমীদের মনে।

এক নজরে এই বাইকটির ফিচারগুলি —-

রয়্যাল এনফিল্ডের সুবিধা: royal enfield গাড়িটি অন্যান্য বাইকে তুলনায় একটু বেশি হেভি ও শক্তিশালী হয়ে থাকে এটাই আমরা জানি আপনারা যদি দূরে ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে এই বাইকটির থেকে সুবিধা যুক্ত বাইক আপনি অন্য কোন বাইকের উপর ভরসা করতে পারবেন না। এই বাইক গুলি দেখ নাই এতটাই সুন্দর যে সহজেই যেকোনো বাইকপ্রেমীদের মন জয় করে নিতে পারে। নিচে এই বাইকের বেশ কিছু ভাল দিকের কথা উল্লেখ করা হলো-

  1.  ডিজাইন (Big Bike Fill): ডিজাইনের কথা বলতে গেলে রয়্যাল এনফিল্ড অন্যান্য বাইকের তুলনায় সেরা। যদিও এই বাইকটি Metoror 350 সিসি দিক থেকে খানিকটা অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে তবুও এই বাইকটির চেহারা অন্যান্য বাইকের তুলনায় আলাদা। এর জ্বালানি ট্যাংক থেকে শুরু করে সাইলেন্সার ও ইঞ্জিন সম্পূর্ণ অন্যান্য বাইকের তুলনায় আলাদা ও সবার ভাবে এই বাইকটি বাইক প্রেমীদের চোখে একটি স্বপ্ন মাত্র।
  2.  ফিচারস: Super Meteror থেকে এক কদম এগিয়ে আছে এই বাইকটি। এর আগে Inspectorer 650 সিসি অসাধারণ ফিচার্সের নিদর্শন দেখা গিয়েছে। এই বাইকটিতে রয়েছে LED Headlite, LED Tellite এবং এলইডি টার্নিং ইনডিকেটর সেই সঙ্গে রয়েছে সেন্সর। আরোহীর পথ চলতে সমস্ত রকমের সুবিধা প্রদান করে এই বাইকটি রয়েল এনফিল্ড একটা লাল ইন্সটলাইট তৈরি করে যেটি জ্বালানি সশ্রয়ে সাহাহ্য করে। এটি একটি ৬৫০সিসি বাইক, তাই Continental GT 650-এর অনেক ফিচার এতে রয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও Super Meteor এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। এতে রয়েছে দু’টি ৬৪৮ সিসি সমান্তরাল ইঞ্জিন, যা ৪৭ বিএইচপি পিক পাওয়ার এবং ৫২.৩ এনএস পিক টর্ক তৈরি করতে পারে।
এতে রয়েছে USD ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং ডুয়াল-স্প্রিং রিয়ার সাসপেনশন। সামনের টায়ারটি একটি ১৯ ইঞ্চি টিউবলেস অ্যালয় হুইল এবং পিছনেরটি ১৬ ইঞ্চি টিউবলেস অ্যালয় হুইল৷
  1.  শক্তিশালী ইঞ্জিন ও স্পেসিফিকেশন: রয়্যাল এই বাইকটি আমরা সকলেই জানি শক্তিশালী ইঞ্জিন এর জন্য কখনো কখনো সোনা গেছে এই বাইকটির ইঞ্জিন ক্ষমতা এতটাই বেশি যে পাহাড়ি অঞ্চল ও চারচাকা সমান পেশার সৃষ্টি করে পরিবহন করতে পারে। এর জন্য এখনো পর্যন্ত যত ভারি ভারি কাজও পার্বত্য এলাকায় এই বাইকের চাহিদা বেশি। 
  2.  আরামদায়ক ভঙ্গি: Super Meteror আরো একটি ভালো দিক হলো এই বাইকটি একটি সুন্দর আকৃতি হয় আরোহী কে সুন্দরভাবে আরামদায়ক ভঙ্গিতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সহযোগিতা করে। চওড়া হ্যান্ডেল বার ও স্পন্স যুক্ত আরামদায়ক সিট থাকায় ইট ও পাথরের মধ্যে দিয়ে চলে গেলেও আপনি এর কোন ঝাঁকুনি অনুভব করতে পারবেন না। এই বাইকটি ব্রেকিং সিস্টেম এতটাই যে আপনি যদি এমার্জেন্সি হিসেবে ব্রেক ডান তবে এই বাইকটির ওজন ও বাইকটির পেশার অনুযায়ী আপনি কখনো বাইক থেকে ছিটকে বলবেন না।
Super Meteor শীঘ্রই এর লঞ্চের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সম্ভবত গোয়ায় লঞ্চ করা হবে এই বাইক। কিন্তু তার দাম কত হতে পারে ভারতে তা নিয়েই এখন যাবতীয় জল্পনা। মনে করা হচ্ছে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজারের (এক্স শো-রুম) মধ্যে থাকতে পারে। 2023 সালের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সুদর্শন হওয়ার Bike of the Year বলা যেতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top