ডিজিটাল মার্কেটিং কি ?

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচারের এবং গ্রাহকদের সাথে সংক্রান্ত যোগাযোগের একটি প্রসারণ। এটি ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, ওয়েবসাইট, মোবাইল এপ্লিকেশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), পেইড সার্চ মার্কেটিং, ইনবাউন্ড মার্কেটিং, ই-কমার্স মার্কেটিং ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেলে কাজ করে।what is a digital marketer do,

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করা হয়, গ্রাহকদের সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, গ্রাহক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা হয় এবং ব্যবসায়ের লাভ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি প্রয়োগ করা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি নিম্নলিখিত কিছু কাজ করতে পারেন:

1. অনলাইন প্রমোশন এবং বিজ্ঞাপন: সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, ইউটিউব, এবং ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করা হয় এবং আপনার ব্র্যান্ড বা বিজ্ঞাপনের বিকাশ করা হয়।

2. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: পপুলার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন ইত্যাদি ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে সংক্রান্ত যোগাযোগ করা হয়।

3. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রোপার্টিগুলি সার্চ ইঞ্জিনে সাজানো হয় যাতে গ্রাহকদের সহজে আপনার ওয়েবসাইট প্রাপ্য হয় এবং গুগলের সার্চ প্রস্তুতির মধ্যে উপস্থিতি থাকে।

4. কনটেন্ট মার্কেটিং: ব্যবহারকারীর আগ্রহ জানতে বা তাদের সমস্যার সমাধান দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা হয়, যা আপনার মার্কেটিং প্রয়োজনীয়ভাবে সাপোর্ট করতে সাহায্য করে।

5. ই-কমার্স মার্কেটিং: অনলাইন মার্কেটপ্লেস, এমার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম, পেইড সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এবং অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে বিক্রয় বৃদ্ধি করা হয়।

6. পেইড সার্চ মার্কেটিং (SEM): প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচারের জন্য পেইড সার্চ ইঞ্জিন বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়, যাতে গ্রাহকদের উত্সাহিত করা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সুসংবাদে অবস্থিত স্বাধীন সময়ে ব্যবসায়িক মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো হয়, যা ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যগুলি পূরণ করতে সাহায্য করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ কত টাকা উপার্জন করা সম্ভব ?

ডিজিটাল মার্কেটিং এ টাকা উপার্জনের সম্ভাবনা বেশ বৃদ্ধি যায়, যত্নশীলভাবে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয় এবং কাস্টমারদের প্রয়োজনীয় মূল্য প্রদান করা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এ টাকা উপার্জনের কিছু প্রধান উৎস নিম্নলিখিত:

1. অনলাইন সেল: ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ্লিকেশনে প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়। এটি সাধারণভাবে প্রোডাক্টের মূল্য থেকে কমিশন হিসেবে উপার্জন করা হয়।

2. এফিলিয়েট মার্কেটিং: প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করার জন্য অন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রসারিত একটি স্পেশাল লিঙ্ক ব্যবহার করে ট্র্যাফিক সংগ্রহ এবং প্রস্তুতির মধ্যে উপার্জন করা হয়। প্রোডাক্টের মূল্যের একটি নিম্ন মাত্রা হিসেবে কমিশন প্রদান করা হয়।

3. পেইড সার্চ মার্কেটিং (পেআরএস): প্রোডাক্ট বা সেবা বিজ্ঞাপনের জন্য সার্চ ইঞ্জিন বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ক্লিক বা ইমপ্রেশনের প্রস্তুতির মধ্যে উপার্জন করা হয়।

4. গুগল অ্যাডসেন্স: এটি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে টাকা উপার্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন প্লেসমেন্ট প্রদান করে। প্রোডাক্টের বা সেবার জন্য ক্লিক বা ইমপ্রেশনের উপর ভিত্তি করে টাকা উপার্জন করা হয়।

উপরে উল্লিখিত ডিজিটাল মার্কেটিং কাজগুলি এবং আরও অনেক অন্যান্য উপার্জনের উপায় ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে সম্ভব। তবে, আপনার আদর্শ কাস্টমারদের প্রয়োজনীয়ভাবে প্রচার করার জন্য সঠিক মার্কেটিং স্ট্রাটেজি প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, মার্কেট ট্রেন্ড এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করা খুব মুহূর্ত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top