জীবন বিজ্ঞানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Part-2
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জীবন বিজ্ঞান সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব যেগুলি সচরাচর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কম্পিটিটিভ পরীক্ষার জন্য বেশ একটা ভূমিকা গ্রহণ করে অর্থাৎ এই ধরনের প্রশ্ন উত্তর গুলো প্রতিটি কম্পিউটার পরীক্ষাতেই কমবেশি আসতে দেখা যায় আমরা আজকে সেই ধরনের কিছু প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব | আপনাদের মধ্যে যারা WBP, PSC, SSC, WBBSE, KP, RAILWAY, এই সমস্ত পরীক্ষার জন্য আপনারা যদি প্রিপারেশন নিতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের দেওয়া এ আর্টিকেল এর প্রশ্ন উত্তর গুলি অবশ্যই আপনারা ফলো করে দেখবেন |
বংশগতি ও বিবর্তন :
মাতা–পিতার বৈশিষ্ট্য গুলি তাদের সন্তান শন্ততিতে বংশগতি বস্তুর মাধ্যমে |
বংশগতি গুলো হল : ক্রোমোজোম, জিন, DNA,
ক্রোমোজোম কি ?
1. বংশগতির প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্রোমোজোম
2. ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন স্টাসবার্গাস 1875 সাড়ে প্রথম ক্রোমোজোম আবিষ্কার হয় |
3. ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্য সাধারণত 3.5 থেকে 30.0 মাইক্রোন এবং যার প্রস্থ হচ্ছে 0.2 থেকে 2.0 মাইক্রোন হয়ে থাকে |
4. ক্রোমোজোম এর প্রধান কাজ হল পিতা–মাতা জিন তাদের সন্তান সন্তাননিতে বহন করে নিয়ে যাওয়া |
5. ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় |
DNA ডি.এন.এ কি ?
- ডি এন এর পুরো নাম হচ্ছে ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড |
- ক্রোমোজোম এর প্রধান উপাদান হলো ডিএনএ DNA.
- ডি.এন.এতে 5 কার্বনযুক্ত শর্করা নাইট্রোজেনঘটিত বেস বা ক্ষার এবং অজৈব ফসফেট থাকে এই তিনটি উপাদান কে একসঙ্গে নিউক্লিওটাইড বলে |
- DNA ক্রোমোজোমের স্থায়ী পদার্থ
- মার্কিন বিজ্ঞানী ওয়াটসন এবং ইংরেজ বিজ্ঞানী ক্রিক 1953 সালে প্রথম ডিএনএ অনুর ডাবল হেলিক্স বা দ্বিতীয় সূত্র কাঠামোর বর্ণনা দেন এবং সেই কাজের জন্য তারা নোবেল পুরস্কার পান |
- এবার নাইট্রোজেন বেস গুলো দুই ধরনের হয় :-
1. পিউরিন : এডিনিন (A) + গুয়ানিন (G)
2. পাইরিমিডিন : সাইটোসিন ( C) + থায়ামিন (T)
RNA কি ?
- RNA পুরো কথা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড |
- RNA তে থাকে 5 কার্বন বিশিষ্ট রায়ভোজ শর্করা
- নাইট্রোজেন বেস
RNA নাইট্রোজেন বেস গুলি হল :-
- এডিনিন
- গুয়ানিন
- সাইটোসিন
- ইউরাসিল
TMV ভাইরাসে DNA থাকেনা |
জিন কি ?
জীবের সাদৃশ্য এবং অদৃশ্যমান লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী একককে জিন বলে
লোকাস: ক্রোমোজোমের যে স্থানে জিন অবস্থান করে তাকে লোকাস বলে |
গৃগর জোহান মেন্ডেল : ইনি হলেন বংশগতির জনক | মাতা–পিতার বৈশিষ্ট্য উদ্ভিদের বংশধর এর মধ্যে কিভাবে প্রকাশ পায় , সে সম্পর্কে বিজ্ঞানী মেন্ডেল একটি মটর গাছ নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে একটা মূল্যবান তথ্য আবিষ্কার করেছিলেন |
গৃগর জোহান মেন্ডেল এর পরীক্ষা : একটি লম্বা একটি খাটো মটর গাছ নিয়ে কৃত্রিম উপায়ে লম্বা গাছের পরাগরেণু নিয়ে খাটো গাছের গর্ভমুণ্ডে এবং খাটো গাছের পরাগরেণু লম্বা গাছের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত করে প্রজনন ঘটানো, হলো যেহেতু লম্বা গাছের জিন প্রকট তাই এই থেকে বীজ বুনে দেখা যাবে সমস্ত গাছি লম্বা হয়েছে একইভাবে খাটো গাছের বীজ বপন করলে দেখা যাবে খাটো গাছের জিন অনুযায়ী সমস্ত গাছগুলি কিন্তু খাটো হয়েছে |
DNA র অনুলিপন : ডিএনএ অনুলিপন প্রক্রিয়ায় একটি DNA অণু থেকে আরেকটি DNA অনু তৈরি হয় বা সংশ্লেষিত হয় | DNA এর অর্ধ রক্ষণশীল পদ্ধতিতে অনুলিপিতে হয় |
DNA টেস্ট কি ?
বর্তমান শতাব্দীতে ডিএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃষি, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ এবং ঔষধ শিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে প্রচলিত সাক্ষ্য–প্রমাণ এবং প্রত্যক্ষদর্শী নির্ভর বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি সুবিচার পাওয়ার এক নতুন উপায় হচ্ছে এই ডিএনএ টেস্ট |
সুবিচার প্রতিষ্ঠায় ডিএনএ (DNA) টেস্ট :
বর্তমানে বিশ্বে অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলেছে |কিছু অপরাধ আছে যেগুলো প্রমাণ করা অনেকটাই কঠিন হয়ে যায় তখন অপরাধীকে তার অপরাধ চিহ্নিতকরণের জন্য ডিএনএ টেস্টের ব্যবহার করা হয়| এক্ষেত্রে ইচ্ছে জৈবিক নমুনা প্রয়োজন হয় যেমন ব্যক্তির হার, চুল, নখ, রক্ত, লালা, ইত্যাদি ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ, অপরাধের শিকার এমন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত জৈবিক নমুনার DNA নকশা কে তুলনা করা হয়, সন্দেহ জনের কাছ থেকে নেওয়া জৈবিক নমুনার DNA নকশার সাথে যদি অপরাধের শিকার ব্যক্তির কাছ থেকে ডিএনএ সম্পূর্ণ সাদৃশ্য প্রমাণিত হয় তবে সন্দেহজনক ব্যক্তিকে অবশ্যই অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে |