গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা কর? বিষ্ণু উষ্ণায়নের প্রভাবগুলি নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করো ?
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বব্যাপী তাপগতি হলো পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধির প্রক্রিয়া, যা পৃথিবীর জীবনসম্পদ, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানবকেন্দ্রিক পরিবর্তনের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি আমদানি কারণের মধ্যে মূল একটি হলো বিশ্বব্যাপী অস্ত্রস্তরীকরণের কারণে উচ্চ রেতের বিশাল প্রকারে কবে যায় প্রযুক্তির উন্নতি ও উদার ব্যবস্থার প্রচুর ইউজ, যা বিদ্যুতশক্তির উৎপাদন, গাড়ির ব্যবস্থাপনা, ঔষধ ও পরিস্থিতি সংস্কার ইত্যাদি জন্য ব্যবহৃত হয়।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জিব জগত ও পরিবেশের ওপর একাধিক সুদূর প্রসারী ক্ষতিকারক প্রভাব ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে উঠছে, যার জন্য জীবজগৎ ও মানব সমাজ এক বিধ্বংস ক্ষতিগ্রস্তের মুখে এসে দাড়াচ্ছে আজকের এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করব তোমাদের সঙ্গে –
মেরু অঞ্চলে বরফের গলন ও পার্বত্য হিমবাহের গলন : বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলন শুরু হয়েছে এবং পার্বত্য হিমবাহ গুলির বরফের আয়তন ক্রমশ কমছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে গাঙ্গোত্রী হিমবাহের গলন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সমুদ্র জলের উচ্চতা বৃদ্ধি : পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য মেরু অঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চলের বড় বেশি পরিমাণ গলে গিয়ে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি করেছে। ফলে সমুদ্রের অস্তিত্ব অনিশ্চিত্ত হয়ে পড়েছে।
অর্ধক্ষেপণ এর প্রকৃতি পরিবর্তন : বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য বিভিন্ন উৎসের জন্য অধিক দ্রুত ও বেশি পরিমাণ বাষ্পীভূত হচ্ছে। বাষ্পীভবন বৃদ্ধির ফলে কোথাও প্রবণ বর্ষণ আবার কোথাও খরা হচ্ছে।
কৃষি পদ্ধতি পরিবর্তন : বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে খরা ও বন্যার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন হচ্ছে। বর্ষার সময় খারার ফলে খারিফ চাস ব্যাহত হচ্ছে আবার স্বল্প বৃষ্টি ও অনিয়ত বৃষ্টির জন্য ফল ফুলের চাষ নষ্ট হচ্ছে।
এল নিনো ও বিশ্বব্যাপী তার প্রভাব : দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলের শীতলপ শত এর পরিবর্তে অস্থায়ী উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের আবির্ভাবের ঘটনাকে এল নিনো বলে। বিজ্ঞানীদের অনুমান যে বছরে এল নিনো প্রবাহিত হয় সে বছর দক্ষিণ এশিয়াতে পূবালী জেট বায়ুর দু’ভাগ হয়ে যায়, প্রত্যয়নকারী মৌসুমী বায়ু কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতবর্ষের দেরিতে প্রবেশের ফলে খরা সৃষ্টি হয়।
এল নিনো কি ?
এল নিনো হলো পৃথিবীর মহাসাগরের সান্ত্বনা কেন্দ্রিক ভাবে স্থানান্তর হয়ে যাওয়া একটি প্রক্রিয়া। এটি প্রায়ই প্রতি 2-7 বছরে অনুভব করা যায় এবং নাম পেয়েছে স্প্যানিশ ভাষার “El Niño,” যা অর্থ হলো “মাশা শিশু” বা “বা শিশু”। এটি নামকরণ পেয়েছে কারণ মুলত এই ঘটনার অবস্থান ধরে একে ছোট্ট শিশুর মাত্রার সাথে তুলনা করা যায়।
এল নিনো এবং তার প্রতিক্রিয়া “লা নিনা” (La Niña) প্রক্রিয়াগুলি মিশ্রণে একটি প্রকারের জলবায়ু প্রণালী উত্পাদিত করে, যা পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত হয়। এল নিনো ঘটনায় প্রাচীন সময়ের বৃদ্ধি, ভয়ঙ্কর অনুশীলন, বন্যায়, স্থানান্তর, বৃষ্টির প্রমাণ ইত্যাদি অনেক বিষয়ে প্রভাবিত হয়। এটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা সাধারণভাবে তাপমাত্রা, তাপক্রিয়া ও উষ্ণতা মেজাজ এর প্রতিক্রিয়া নেয় বলে ধারণা করে।
এল নিনো এবং লা নিনা বৃদ্ধি ও ক্ষয় প্রক্রিয়া ও উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং ক্ষয় প্রক্রিয়ার মধ্যে একটি স্থিতিশীল প্রক্রিয়া তৈরি করে, যা পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত প্রাকৃতিক পরিবর্তনে প্রভাবিত করে। এই প্রক্রিয়া এল নিনো প্রক্রিয়ার একটি অতিরিক্ত অবদান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনে মহাসাগরের তাপমাত্রা এবং সান্ত্বনা পরিবর্তনে গভীর প্রভাব পড়ে।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং টেবিল
বছর | গড় পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি (°C) |
---|---|
2000 | 0.6 |
2001 | 0.65 |
2002 | 0.7 |
2003 | 0.73 |
2004 | 0.78 |
2005 | 0.82 |
2006 | 0.85 |
2007 | 0.88 |
2008 | 0.91 |
2009 | 0.95 |
2010 | 1.0 |
2011 | 1.05 |
2012 | 1.1 |
2013 | 1.15 |
2014 | 1.2 |
2015 | 1.25 |