উনিশ শতকের নারী কল্যাণে বোমাবোধিনীর অবদান লেখো?

উনিশ
শতকের নারী কল্যাণে বোমাবোধিনীর অবদান লেখো?



উনিশ শতকের নারী কল্যাণে বোমাবোধিনী (Bomabodhini) একটি প্রকাশিত বাংলা মাসিক পত্রিকা ছিল, যা ১৮৯৬ সালে কলকাতায় প্রথম প্রকাশ পেয়। এটি বাংলা ভাষার প্রথম মহিলা মাসিক পত্রিকাগুলোর একটি। এই পত্রিকা নেত্রকোনা দেবী নামের একজন প্রখ্যাত নারী সমাজসেবিকার পদচিহ্ন হিসেবে পরিচিত। উনিশ শতকের প্রথম দিকে বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের সমাজ জীবনে শিক্ষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সুবিধাতা ছিল যদিও সমাজিক ও পারিবারিক কারণে
বাংলাদেশে নারীদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। এই অবস্থা থেকে
নারীদের উদ্ধারের কাজে বোমাবোধিনী পত্রিকা প্রচার চালায়। এই পত্রিকাটি হলো
নারীদের জন্য বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পত্রিকা।

প্রকাশন কাল : ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে আগস্ট মাসে বামাবোধিনী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।

 প্রকাশক: এই বোমাবাজিনী পত্রিকা
প্রথম প্রকাশিত করেন সম্পাদক উমেশচন্দ্র দত্ত।

 শিক্ষা: নারী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ায় বোমাবোধিনি পত্রিকার মূল লক্ষ্য ছিল। কারণ পত্রিকাটি ছিল ব্রাহ্মসমাজের। সুতরাং ব্রহ্ম সমাজের শিক্ষিত ব্যক্তিরা ধর্মীয় গোঁড়ামির উর্ধ্বে নারী কল্যাণ বিষয়টি চিন্তা করেছিল।

বালিকা বিদ্যালয়ের সংখ্যাগুলি কম থাকার দরুন
এবং সামাজিক প্রতিবন্ধীরা থাকায় বাড়ির মধ্যে লেখাপড়া করার জন্য বামাবধীনি পত্রিকায় পরামর্শ দেওয়া হয়। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বাড়ির পুরুষদের দায়িত্ব গ্রহণীয় প্রস্তর দেয়। এই পত্রিকার প্রথম
পাতায় নারী কল্যাণের বিষয় পালনীয় এই সংস্কৃতি শ্লোকতা
লেখা থাকতো।

সেই সময় বেতন বালিকা বিদ্যালয়ের সংকট দেখা দিলে পত্রিকাটি সমবেদনা প্রকাশ করে। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে একটি সংখ্যায় পত্রিকাটি লিখেছিলআমরা শুনিয়া দুঃখিত হইলাম যে দেশের
সর্বপ্রথম বেতন বালিকা বিদ্যালয়ের ত্রিশটি মাত্র ছাত্র অধ্যায়ন করিতেছে

 সেই সময় তাছাড়াও মিশনারীদের উদ্যোগে যে সমস্ত বালিকা
বিদ্যালয়গুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে বামাবোধিনী পত্রিকা প্রকাশিত সংখ্যা প্রতি মাসে পাঠানো হতো এভাবে শিক্ষা প্রসারে এই পত্রিকার উৎসাহ
দেয় এবং নারীদের প্রয়োজনীয়তার কথা প্রচার করে।

 আদর্শ অনুসারে : বোমাবো তিনি পত্রিকা বাঙালি নারীদের শাসনে গার্গী মৈত্রীয়ের মতো বিদুষী নারীদের আদর্শ করে তোলে। পত্রিকায় লেখা হতো সেই সুদূর অতীতে নিজে নিজে চেষ্টায় সেইসব নারীদের জ্ঞান অর্জনের ব্রতকথা, জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তারা যেভাবে পারদর্শিকতা করেন তাদের অনুসরণ করে বাঙালি নারীদেরও শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে নিয়ে আসা দরকার।

 আচার অনুষ্ঠান : বাংলাদেশে হিন্দু সমাজে যে সমস্ত মাঙ্গলিক
আচার অনুষ্ঠান প্রচলিত ছিল সেগুলি পালনের কথা পত্রিকাটিতে লেখা হতো যেমন – ভাই ফোঁটা রাখি বন্ধন বিভিন্ন ব্রত প্রভৃতি। এগুলির উৎপত্তি ও গুরুত্বের কথা
ও থাকত সেই লেখাতে।

সীমাবদ্ধতা : এই পত্রিকা বাংলাদেশের
১৯ শতকের সমাজ জীবনে উন্নতির চেষ্টা করলেও তা বহু সীমাবদ্ধতা
ছিল –

  1. পত্রিকা প্রচারিত হয় হিন্দু নারীদের জন্য মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মের
    নারীদের কথা ভাবা হয়নি
  2. পত্রিকায় প্রচারিত হতো কলকাতা মকসিফল শহরে। শহরে নারীদের কল্যাণ পত্রিকাটি প্রধান লক্ষ্য হলেও গ্রামাঞ্চলে নারীদের কল্যাণ পত্রিকায় সম্মান পায়নি।
  3. পত্রিকার পার্টিটা সংখ্যা সীমিত ছিল এই পত্রিকাতে পাঠকদের
    সঙ্গে বৃহত্ততার নারী সমাজের কোন সংযোগ ছিল না।

 মূল্যায়ন : বিভিন্ন সামাজিক সীমাবদ্ধতার সঙ্গেও স্বীকার করতে হয় বোমাবুধীনে পত্রিকা বাংলাদেশের নারী কল্যাণের যে উদ্যোগ দিয়েছিল
সকলকে তার অন্য কোন পত্রিকায় অনুগ্রহ উদ্যোগ দেয়নি। শিক্ষা প্রসারে নারী সমাজকে সচেতন করার ক্ষেত্রে এই পত্রিকার অবদান
ছিল অনস্বীকার্য।

 বামা কথাটার অর্থ হলো নারী অর্থাৎ সমগ্র নারী জাতিকে বোঝানো হয়েছে  । বোধিনী কথাটির অর্থ হল বন্দনা বা বোধন করা। তাই পুরো অর্থ হলো নারী জাতির বন্দনা করা। যেহেতু এই বিষয়বস্তুর হেডলাইন  বামাবোধিনী অর্থাৎ নারী জাতির বন্দনা করা সেহেতু  বিষয়বস্তু নারী জাতিকে নিয়ে লেখা হয়েছে। সমাজে নারী জাতির কার্যকলাপ, তাদের শিক্ষা দীক্ষা, এমনকি নারী জাতির সমস্ত বিষয়গুলোকে তুলে ধরার জন্য এই পত্রিকা লেখা হয়েছে। এই পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল আগস্ট মাসে 1863 খ্রিস্টাব্দে। দীর্ঘদিন ধরে এই পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন উমেশচন্দ্র দত্ত  এবং সর্বশেষে এর সম্পাদনা করেছেন আনন্দ কুমার দত্ত। সর্বপ্রথম যে এই পত্রিকার সম্পাদনা করতেন উমেশচন্দ্র দত্ত তার সাল ছিল ১৮৪০ থেকে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

 বামাবোধিনী পত্রিকাটি কি?


১৯২২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত  এই পত্রিকাটি সাফল্যের সঙ্গে চলেছিল। প্রথমত,দীর্ঘ ষাট বছর ধরে এই পত্রিকাটি জনপ্রিয়তার সঙ্গে চলেছিল। দ্বিতীয়ত, প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তা ও সফলতা পেয়েছিল এই পত্রিকাটি। এই পত্রিকা ছিল শুধুমাত্র একটি মাসিক পত্রিকা। কিছু ব্রাহ্মণ তাদের গ্রাম্য নেতাদেরকে নিয়ে একটি সভা গঠন করেছিলেন, যে সভাটি বামা বোধিনী সভা নামে পরিচিত। এই সভার মুখপত্র হলো বামাবোধিনী পত্রিকা। যেটা ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে  প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এবং এই পত্রিকাটি প্রায় ৬০ বছর ধরে চলেছিল। এই মাসিক পত্রিকাটিকে উমেশচন্দ্র দত্ত খুব ভীষণভাবে সহযোগিতা করেছিল। শুধুমাত্র যে উমেশচন্দ্র দত্ত এই পত্রিকার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছিলেন তা নয় ছাড়াও তিনি আরো দুজন ব্যক্তির কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছিলেন তার এই সম্পাদনা কাজের ক্ষেত্রে  তাদের মধ্যে একজন হলেন ক্ষেত্র মোহন দত্ত আরেকজন হলেন বসন্ত কুমার দত্ত। দীর্ঘ ৪৪ বছর যাবত এই উমেশচন্দ্র দত্ত সম্পাদনার কাজ চালিয়েছিলেন এবং সর্বশেষ সম্পাদনা করেছিলেন আনন্দমোহন দত্ত । কিন্তু উমেশচন্দ্র দত্তর ৪৪ বছর সম্পাদনা করার পর বেশ কিছু লোক এই পত্রিকা সম্পাদনার কাজ করেছিলেন তাদের নাম হলো – সুকুমার দত্ত, তারা কুমার কবি রত্ন, সূর্য কুমার চট্টোপাধ্যায়, ক্ষেত্র কুমার মুখোপাধ্যায় ধারাবাহিকভাবে কিছুদিন এই পত্রিকার সম্পাদনার কাজ করেছিলেন। পত্রিকার তিন রকমের হয় যেমন-

১. মাসিক পত্রিকা

২. সাপ্তাহিক পত্রিকা

৩. দৈনিক পত্রিকা

এই তিন রকমের পত্রিকার মধ্যে  বামাবোধিনী পত্রিকা হলো একটি মাসিক পত্রিকা। অর্থাৎ এই বামাবোধিনী পত্রিকা মাসে মাসে প্রকাশিত হতো।এই মাসিক বামাবোধিনী পত্রিকায় পুরুষদের মত মহিলারাওলিখতে পারতেন নিয়মিত।

বামাবোধিনী পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য কি ছিল?

 কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা এবং নারীদের সচেতন করে তোলা এই ছিল বামাবোধিনী পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য। রমেশ চন্দ্র দত্ত বুঝতে পেরেছিলেন যে এই সমাজ থেকে যদি কুসংস্কার দূর না করা যায় তাহলে এই সমাজ কুসংস্কার মুক্ত কোনদিনও সম্ভব হবে না কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়তে গেলে সবার প্রথমে শিক্ষা প্রয়োজন।বামাবোধিনী পত্রিকা একদিকে যেমন রক্ষণশীল এবং বিভিন্ন লেখকদের লেখা এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া ছিল সমাজ, ধর্ম,নীতি শাস্ত্র, বিজ্ঞান,ইতিহাস, ঘরোয়া ওষুধ পত্র, শিশু চর্চা, নারী শিক্ষা এই সবকিছু নিয়ে এখানে পর্যালোচনা করা হয়। গৃহবধূদের শিক্ষিত করে তোলা, বাঙালি মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলা এবং সমাজের পরিবর্তন আনতে তাদের ভূমিকা কে গুরুত্ব দেওয়ার এই পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমেই বলেছিলাম নারী জাতির অগ্রগতি তাহলে বাঙালি গৃহবধূ ও নারী জাতিকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে এই সমাজের অগ্রগতি হওয়া সম্ভব। এটাই ছিল এই পত্রিকার মূল বিষয়বস্তু।নারী জাতির বঞ্চনা, নারী জাতির শোষণের বিরুদ্ধে নির্ভীক প্রতিবাদ  গড়ে তোলা এই পত্রিকার উদ্দেশ্য ছিল।

কিভাবে শিক্ষার সাথে সাথে সমাজের অগ্রগতি হওয়া সম্ভব?

নারী জাতির কথা বারবার বলতে গিয়ে বলা হয়েছে যে,সমগ্র বাঙালি পরিবারকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। আজকে যদি ধরুন আমার মা শিক্ষিত হয়,আমার বোন শিক্ষিত হয়,আমার সমগ্র পরিবার শিক্ষিত হয়,  এবং ধীরে ধীরে এই সমাজের প্রত্যেকটা ফ্যামিলির প্রত্যেকটা মানুষ যদি শিক্ষিত হয় তাহলে ধীরে ধীরে  সমগ্র সমাজ, সমগ্র জাতি, সমগ্র গোষ্ঠী শিক্ষিত হতে শুরু করবে। এবং সবাই শিক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে এই শিক্ষার অগ্রগতি হওয়া সম্ভব। এছাড়া এই পত্রিকার মাধ্যমে এই শিক্ষার গুরুত্ব টাকে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। ১৮৬৩ সালে প্রকাশিত হয় এই বামাবোধিনী পত্রিকা নারী জাতির পক্ষে  একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রধানত উমেশচন্দ্র দত্তের মতো উন্নতির ক্ষেত্রে সংস্কারক ছিলেন আশুতোষ বোস ও সন্তোষ কুমার দত্ত প্রভৃতি ব্যক্তি সম্পাদনা মন্ডলীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই পত্রিকার সদর কার্যালয় ছিল ষোল নম্বর রঘুনাথ স্ট্রিট শিমুলিয়া কলকাতা। কুসংস্কার মুক্ত করে নারীকে শিক্ষিত করে তোলা ছিল এই পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য। এই পত্রিকার শীর্ষে লেখা হত যে, বামাবোধিনীতে ভাষা জ্ঞান,ভূগোল,ইতিহাস, জীবন চরিত,বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য রক্ষা,নীতি, ধর্ম, নেশা চার, গৃহ চিকিৎসা, পশুপালন, গৃহ কার্য ও অন্যান্য বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকায়। এই সব বিবরণ গুলি প্রকাশিত হয়েছে নারীজাতি শিক্ষার প্রসারের  সাথে সাথে। প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে যদি শিক্ষার আলো পৌঁছাতে না পারে তাহলে সমাজের অগ্রগতি হওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। সমাজের দিব্য আলো ও আশা কোনভাবেই সম্ভব নয় যদি নারী জাতিকে শিক্ষিত না করা যায়। যদি পরিবারকে শিক্ষিত করে না তোলা যায় তাহলে সমাজে এখনো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। নারীদের বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা এই পত্রিকায় আলোচনা করা হয়েছে সেগুলি হল নারীরা নাকি শিক্ষার জন্য সময় পায় না,উৎসাহ পান না, শিক্ষকের সহযোগিতা পান না কেননা সেই সময় নারী জাতির শিক্ষা নিয়ে সমাজে ভীষণ চর্চা হতো। কারণ সেই সময়ে সমাজের যেসব রক্ষণশীল নেতারা ছিল সেই নেতারা কখনোই চাইত না যে সমাজের নারী জাতির শিক্ষার আলোতে শিক্ষিত হোক। কারণ নারী জাতির শিক্ষিত হলে অনেকেরই সমস্যা হতে পারে  কারণ তাদের ধারণা নারীরা জন্মেছে গৃহকর্ম সামলানোর জন্য ঘরের মধ্যে থাকবে । তারা কেন বাড়ির বাইরে বেরোবে তারা কেন স্কুলে পড়ার জন্য স্কুলে যাবে। তার কারণেই এই সব সমস্যাকে বন্ধ করার জন্য বিদ্যাসাগরকে বাধ্য হয়ে বালিকা বিদ্যালয় তৈরি করতে হয়েছিল। ৩৫ জন বালিকা নিয়ে একটি স্কুলে খুলেছিল। আজকের দিনে আমরা দেখছি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সামলাচ্ছে, সমাজ কতটা শিক্ষিত হলে সমাজের মানুষের পক্ষে এত দুর পর্যন্ত ভাবা  সম্ভব। ছাড়া আমরা দেখেছি রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন একবার একজন মহিলা। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি সমাজে শিক্ষার গুরুত্ব ঠিক কতটা প্রয়োজন ছিল তা না হলে কুসংস্কার সমাজকে গ্রাস করে খেত। নারী জাতির মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর সাথে সাথে  যে তাদের মধ্যে যে  জ্ঞানের প্রকাশ ঘটানো, তাদের মধ্যে যে একটা উদয়ন ভাব নারী জাতির মধ্যে ঢোকাতে হয় তাহলে তাদের মধ্যে প্রথমে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে হবে। দুরবস্থা ও জরতা কাটাতে এই বামাবোধিনী পত্রিকার গুরুত্ব অপরিসীম। উনিশ শতকে এই  পত্রিকার গুরুত্ব বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল। তাহলে আমরা সবাই বুঝতেই পারলাম যে বাবা-মদিনী পত্রিকার গুরুত্ব ঠিক 19 শতকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।


এই পত্রিকাটি কত বছর পর্যন্ত টিকে ছিল?


  পত্রিকাটি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত টিকে ছিল প্রায় ২২ বছর পর্যন্ত। পত্রিকা ব্রিটিরা বন্ধ করে দিয়েছিল।বামাবোধিনী পত্রিকা এক উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক দলিল হয়ে উঠবে এক ঐতিহাসিক এর কাছে বা একজন শিক্ষার্থীর কাছে যখন তারা  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয় অর্ধ থেকে বিংশ শতক পর্যন্ত নারীর ইতিহাস জানতে চাইবে তখন তাদের কাছে কিন্তু এই পত্রিকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ঐতিহাসিক দলিল রূপে গ্রাহ্য হবে।

আশা করি বন্ধুরা আপনারা যারা ইতিহাসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোটস নিয়ে চিন্তিত আছেন এবং ইতিহাস সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না কিন্তু জানতে চান এবং আপনারা যদি ইতিহাসে খুব দুর্বল হয়ে থাকেন তবে আমাদের দেওয়া এই ওয়েবসাইটের নোটগুলো আপনারা খুব ভালোভাবে পড়বেন। এবং এখান থেকেই পেয়ে যেতে পারেন আপনারা সঠিক তথ্য যে তথ্যগুলি আপনাকে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করবে ভালো মার্ক এর সাথে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top