অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার নিয়ম ?
আমরা সকলেই বর্তমানে কিন্তু আধুনিক শিক্ষা শিক্ষিত হয়েছি কম-বেশি আমরা অনেকেই কম্পিউটার সম্পর্কে একটা নলেজ আমাদের মধ্যে আছে কেন স্কুল কলেজ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা জানি সকলেই কিন্তু কম্পিউটারের দক্ষতার প্রয়োজন স্কুল থেকেই আমরা কম্পিউটার শিখতে পেরেছি সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা কিন্তু অল্প পুঁজিতে একটা ব্যবসা শুরু করতে পারি এবং তার থেকেই অর্থ উপার্জন করার রাস্তা পার করতে পারব। তো বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা জানবেন কিভাবে আপনারা আপনাদের কম্পিউটার স্কিল কে কাজে লাগিয়ে একটা ভালো ব্যবসা করতে পারেন।
স্কুলে কম্পিউটার নামক একটি ক্লাস তৈরি হয়েছে সমস্ত ক্লাসের জন্যই এই ক্লাসগুলিতে আমরা কম্পিউটারের সম্পর্কে একটা ধারনা পাই এবং সেখান থেকে কিন্তু আমাদের বলে দেওয়া হয় কম্পিউটার ঐচ্ছিক বিছানা একটা আবশ্যিক বিষয় কিভাবে আপনারা কম্পিউটার একজনের জীবন গড়ে দিতে পারে আপনারা এমন কিছু অনলাইনে কিংবা ইউটিউবে দেখে থাকেন কম্পিউটারের বিভিন্ন ক্লাসগুলি সম্পর্কে এবং আপনারা যদি কোন প্রাইভেট সেক্টরে ভালো কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে চান তাহলে আপনাদেরকে যে সমস্ত প্রশিক্ষণগুলি নিতে হবে সেগুলি নিচে বর্ণিত হল –
- Bassic Education
- DTP
- Exel and Multimedia
- Web Design
- Graphic Design
- Photoshop
এই ধরনের পোস্টগুলো আপনারা কম পয়সার মধ্যে শিখে নিতে পারবেন যেকোনো সরকারি কিংবা বেসরকারি কম্পিউটার শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি থেকে। পরবর্তীতে চাইলে আপনি এই সমস্ত প্রশিক্ষণগুলিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন কিংবা অফলাইন টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য এসএমএস তো কোর্সগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি যদি শনিবার হতে চান তবে যে সমস্ত ওয়েবসাইট গুলির আপনার প্রয়োজন পড়বে –
- Fiver
- UpWork
- Freelancer
- Skiltest
অনলাইন: এমন অনেক ওয়েবসাইটগুলি রয়েছে যেখানে আপনারা আপনাদের অ্যাকাউন্ট খুলে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার একটা প্রোফাইল খুলে আপনার দক্ষতাগুলিকে সকলের সামনে তুলে ধরে আপনি চাইলে একটি ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন সেখানে আশা বহু ক্লায়েন্টরা যখন আপনার প্রোফাইল দেখবে এবং আপনার প্রোফাইলে কোন দক্ষতার ওপরে আপনার কাজ করছেন সেগুলি দেখে তারা আপনাকে কন্টাক করবে আপনি চাইলে আপনার বাজেট মত তাদের সাথে আলোচনায় এসে তাদের প্রজেক্টগুলি নিতে পারবেন এবং প্রজেক্টগুলি যদি ঠিকঠাক মতো কমপ্লিট করে দিতে পারেন তাহলে সময় হলেই আপনারা আপনাদের পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন ওই সমস্ত ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে।
অফলাইন : আপনারা চাইলে একটি সাইবার ক্যাফে খুলতে পারেন সাইবার ক্যাফে এখন প্রচন্ড চাহিদা রয়েছে আপনি যদি আপনার গ্রামের মধ্যে কিংবা একটু বাজারের আশেপাশে একটা ভালো সাইবার ক্যাফে খুলে মানুষদেরকে ঠিকঠাক মতো সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন তাহলে আপনার কাছে দর্শকের ভিড় জমবে আপনি যদি ঠিকঠাক মতো কাজ জেনে থাকেন। সাইবার ক্যাফে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে যে সমস্ত সরঞ্জাম গুলির প্রয়োজন পড়বে –
- Computer
- Scanner
- Printer
- Xerox machine
- Biometric device
- Lamination machine
এই সমস্ত মেশিনগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনারা যদি ঠিকঠাক মতো কাজ করে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার দোকান সবসময় কাস্টমার ভরপুর থাকবে এবং আপনার কাছেও টাকা আসবে। একটা সাইবার ক্যাফে চালাবার জন্য আপনাদের কাছে যে সমস্ত বিষয়গুলির ওপর দক্ষতা থাকতে হবে অত যে সমস্ত কাজ Cyber Cafe বেশি পরিমাণে আসে সেগুলি দেখে নিন আপনার দোকান শুরু করার আগে –
- Voter card correction
- Aadhar Card correction
- Making a pan card
- Making passport
- Driving licence
- PF money withdrawal
- Money transfer
- Photo print
- WhatsApp documents print out
- Making a biodata
- Online form-fillup
এই সমস্ত জিনিসগুলির দক্ষতা আপনারা দ্রুত অর্জন করুন তবেই কিন্তু আপনারা আপনাদের সাইবার ক্যাফে ব্যবসায় উন্নতি লাভ করতে পারবেন। এখন এগুলির প্রশিক্ষণ youtube কিংবা অনলাইন বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও দেয়া হয়ে থাকে তো আপনারা চাইলে সেগুলি কিন্তু দেখে নিতে পারেন এবং আপনার স্কিল দক্ষতা বাড়াতে পারবেন।
সাইবার ক্যাফে ব্যবসার জন্য কত টাকার প্রয়োজন পড়ে ?
আপনি যদি মোটামুটি সাইবার ক্যাফে ব্যবসা নতুন শুরু করতে চান তবে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে আপনি পুরো সেটআপ পেয়ে যাবেন। তবে এর বেশ কিছু লাইসেন্স রয়েছে সেগুলোর জন্য হয়তো আপনাকে সরঞ্জাম ছাড়াও সে সমস্ত লাইসেন্সের খরচ দিতে হতে পারে –
- CSP Licence: আপনারা যদি একটি সিএসপি খুলে আপনার সাইবার ক্যাফেতে টাকা তোলা, টাকা ট্রান্সফার করা, টাকা জমা রাখা ইত্যাদি ধরনের কাজগুলি করতে চান তবে আপনাকে একটা ভালো কোম্পানির বা ব্যাংকের CSP খুলতে হবে এবং সেখান থেকে ইনকাম করতে হবে। এর জন্য আপনারা আপনাদের লোকাল সেই সমস্ত ব্যাংকের ব্রাঞ্চ এ গিয়ে যোগাযোগ করবেন এছাড়াও তারা কিন্তু অনলাইনের মারফত আপনাকে ফরম ফিলাপ করতে বলবে তবে আপনার বাজেটের মধ্যে একটা সিকিউরিটি মানি আপনার কাছ থেকে নেওয়া হবে।
কোন কোন কোম্পানিগুলি CSP প্রোভাইড করে থাকে ?
আপনি যদি ভাবছেন আপনার সাইবার ক্যাফেতে CSP খুলবেন তবে আমি আপনাদেরকে বলবো SBI, BOI, PayTm এই সমস্ত ব্যাংকগুলি থেকে আপনি যদি সিএসপি নেন তবে আপনার ইনকাম ভালো থাকবে কারণ এই সমস্ত ব্যাংকগুলি ট্রানজেকশনে ভালো কমিশন দিয়ে থাকে।
Paytm CSP: পেটিএম এর সিএসপি নিতে গেলে আপনাদেরকে পেটিএম এর অনলাইন নাম্বারে কল করবেন সেখানে আপনি একটি ফরম ফিলাপ করবেন এবং তিন থেকে চারদিন পর আপনার কাছে একটা কল আসবে সেই কলটা আপনি রিসিভ করলে আপনার সেন্টারে। পেটিএম এর এজেন্টরা আসবে এসে তারা আপনার দোকানটিকে ভেরিফাই করবে অর্থাৎ আপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে যদি কোন পেটিএম এর সিএসপি থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আপনাকে সেই পেটিএম সিএসপি দেবেনা এর জন্য আপনাকে একদম যেখানে সিএসপি নেই সেই সমস্ত অন্তরগুলিতে দোকান করতে হবে যাতে এর মার্কেট ভ্যালু বেশি থাকে। আর আপনার কাছে সিকিউরিটি বাড়ি হিসেবে এরা 9000/- নেবে যেটা আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা থাকবে পরবর্তীতে আপনি রিটার্নও করে দিতে পারবেন।
Paytm সিএসপি আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগে?
আপনারা যারা আছেন পেটিএম সিএসপি নিয়ে কাজ করবেন তাদের জন্য বলে রাখি পেটিএম ধীরে ধীরে এতটাই চাহিদা বেড়েছে যে এর সিএসপি নেবার জন্য আপনাদেরকে এই সমস্ত ডকুমেন্টগুলি প্রয়োজন পড়বে –
- আধার কার্ড
- প্যান কার্ড
- নিজস্ব দোকানের মালিকানা প্রমাণপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
এই সমস্ত ডকুমেন্টসগুলি আপনি আপনার শপে রেখে দেবেন যখন পেটিএম এর এজেন্ট আসবে তখন তারা কিন্তু দেখতে যাবে এবং আপনার দোকানটি যদি একটু লোকালয়ে হয়ে থাকে তবে সহজেই আপনাকে লাইসেন্সটা দিয়ে দেবে। এতে আপনার একটি বায়োমেটিক মেশিন দাঁড়ায় আপনার একাউন্টে লগইনস্টে থাকবে।
তো বন্ধুরা আশা করি আপনারা এবার বুঝতে পারলেন কিভাবে আপনারা কম পয়সার মধ্যে একটা ভাল ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন Online হোক কিংবা অফলাইনে যদি দক্ষতা আপনার থাকে ভালো তবে বাড়িতে বসে ইনকাম করতে পারবেন।